💥Google AdSense Account সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে | How to Create a Google AdSense Account #Maksudq8
আসসালামু আলাইকুম!!
বর্তমানের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি নতুন নিয়মে নতুন একটি গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন খুবই সহজ উপায়ে। সুতরাং পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আর বুঝতে চেষ্টা করবেন। বুঝতে যদি কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন! তারপরেও যদি আপনার বুঝতে কষ্ট হয় তাহলে উপরের দেয়া ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখে নিন। আমি শতভাগ নিশ্চিত একবার যদি আপনি ভিডিওটি দেখেন তাহলে একটি গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট কিভাবে বানাতে হবে পুরো প্রসেসটি জেনে যাবেন এবং বানাতেও পারবেন। কারণ, সেই ভিডিওটিতে আমি প্র্যাকটিকালি একটি গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেখিয়ে দিয়েছি।
জানা অজানা
আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে যদি অর্থ উপার্জন করতে চান? তাহলে এ বিষয়টি ভাল করে মাথায় নিয়ে নিন যে, আপনার একটি ব্যক্তিগত গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি যা ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারবেন না। সুতরাং অ্যাকাউন্টটি খুলে উত্তম রাখাই উত্তম, এমন ধরনের কথা কোথাও লেখা নেই যে, আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশান হওয়ার পরেই গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি খুলতে হবে। যেকোনো মুহূর্তেইই গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে সক্ষম হবেন। তাহলে দেরি না করে এখনই খুলে ফেলুন। যেটির ফলে ভবিষ্যতে আপনি অন্তত একটি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং মনের সুখে বেশি বেশি কাজ করতে কোন দ্বিধাবোধ করবেন না।
গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট করতে কি কি দরকার?
গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার, আরো দরকার হলো আপনার একটি এন আই ডি কার্ড কপি, পাসপোর্ট কপি অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি, যেকোনো একটির কপি থাকলেই চলবে এবং একটি সচল ফোন নাম্বার হলেই যথেষ্ট।
কেন দরকার?
আপনার পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা এন আই ডি কার্ড (যেকোনো একটির) অরিজিনাল বা ফটোকপি থাকা এজন্য দরকার, যার থেকে আপনার সঠিক নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা থেকে শুরু করে পেমেন্ট ইনফরমেশন রেডি করা অবধি দরকার হবে। কারন, এগুলি না থাকলে তো আপনি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না এবং প্রোভাইড ও করতে পারবেন না। আপনি হয়তো বা জানেন যে এটা আপনার নাম আর এটা আপনার ঠিকানা কিন্তু আপনি কতটুকু কনফার্ম যে, আপনার কাগজ পত্রে ঠিক তাই লিখা আছে আর তার বানান গুলো ঠিক তাই যা আপনি এখানে লিখছেন। আর ফোন নাম্বারটি থাকা এই জন্য দরকার, পোস্ট অফিসে যখন আপনার গুগল অ্যাডসেন্স চিঠিটি আসবে যেটির ভেতরে পিনকোড থাকবে আর সেই পিনকোড দ্বারা অ্যাড্রেসটি ভেরিফিকেশান করা লাগবে সেক্ষেত্রে ফোন নাম্বারটি পোস্ট অফিস মাস্টার কে যথেষ্ট পরিমাণ সাহায্য করবে আপনাকে খুঁজে পেতে।
সতর্কতা
গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে অথবা গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি তৈরি করার পরে পেমেন্ট ইনফো তে যখনি আপনি আপনার ঠিকানাটি বসাবেন চেষ্টা করবেন সুন্দর করে সঠিক ভাবে বসাতে। নিচের কলামটি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কিভাবে লিখতে হয়। নামের জায়গায় আপনার কাগজপত্রে যে নামটি আছে ঠিক সেটিকেই দেখে দেখে বসিয়ে দিবেন। খেয়াল রাখবেন যেন কোথাও ভুল না হয়। ভুল হলে পরে আপনার এড্রেস ভেরিফিকেশন হবে না। এড্রেস লাইন ওয়ান এ দিয়ে দিবেন আপনার ঠিকানাটি যেখানে আপনি বর্তমানে বসবাস করেন। জরুরি না যে, আপনার কাগজপত্রে যে ঠিকানাটি আছে আপনি ঠিক সেই ঠিকানাটিকেই দিতে হবে, যদি আপনি সেই জায়গাতে বর্তমানে অবস্থান না করেন। জরুরি হল বর্তমানে আপনি কোথায় আছেন সেই ঠিকানাটি। যেমন, মনে করেন আপনার কাগজপত্রে লেখা আছে কুমিল্লা কিন্তু বর্তমানে আপনি থাকেন ঢাকাতে সে ক্ষেত্রে ঢাকার ঠিকানা দিয়ে দিবেন। কারন, আপনি তো বর্তমানে অবস্থান করতেছেন ঢাকাতে তো আপনার ঢাকা ঠিকানাটি দরকার যেন সহজে আপনি পোস্ট অফিস থেকে কালেক্ট করতে পারেন। এড্রেস লাইন টু তে দিয়ে দিবেন আপনার ফোন নাম্বারটি। তারপরে দিয়ে দিবেন পোস্টাল কোড। সেটি যেন অবিকল আপনার দেয়া পোস্ট অফিসেরই হয়। যদি আপনি না জানেন তাহলে একটু কষ্ট করে পোস্টমাস্টার থেকে জেনে নিবেন তারপরে অনলাইনে একটু ঘাটাঘাটি করে কনফার্ম হয়ে নিবেন যে এটি আপনার পোস্ট অফিসের পোস্টাল কোড।
নমুনা

No comments